মাও: শফিকুল ইসলাম
-অর্থ সম্পাদক
বাংলাদেশ মজলিসুল মুফাসসিরীন, গাজীপুর জেলা।
পরম পবিত্র মহিমাময় সত্তা যিনি তার স্বীয় বান্দাকে এক রাত্রে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করালেন। যার চর্তুদিকে আমার রহমত ঘিরে রেখেছিল যেন আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। তিনি সব কিছু শুনে ও দেখেন। (সূরা বনী ইসরাঈল)
আরবী বার মাসের মধ্যে রজব মাস হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এই মাসে বিশ্ব নবী (সা:) এর পবিত্র মেরাজ সংগঠিত হয়েছিল। পৃথিবীতে সকল নবী রাসুলগণকে মহান আল্লাহ তায়ালা মেরাজ করিয়েছেন।
হযরত আদম (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের মধ্যে দিদার লাভ করিয়েছেন। হযরত ইবরাহীম (আ:) কে মরুভূমির মধ্যে মেরাজ করিয়েছেন। হযরত মুসা (আ:) কে তুর পাহারের মধ্যে মেরাজ করিয়েছেন। আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে আল্লাহ তায়ালা আরশে মুয়ানার মধ্যে মেরাজ করিয়েছেন। এই পৃথিবীকে সুন্দর করা জন্য, অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করার জন্য, একটি ইসলামী সমাজ বিনির্মানের জন্য নবী (সা:) কে পাঠানো হয়েছে। যে সমাজে অন্যায় থাকবে না, চোর বদমাইশ থাকবে না, অপহরনের ভয় এবং গুপ্ত হত্যার ভয় থাকবেনা। মৌলিক অধিকার বিঘ্নিত হওয়ার ভয় থাকবে না এবং
হক কথা বলার কোন ভয় থাকবে না।
অসহায়দের ভয় থাকবে না অসুস্থ হলে কে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করবে। একজন এতিমের এই ভয় থাকবেনা কে তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করবে। এই ভয় থাকবেনা একজনের বিধবার কে বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে।
একজন যুবতী সুন্দরী নারী দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত হেটে যাবে তার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। এমন সুন্দর
একটি সুনালী সমাজ উপহার দেয়ার জন্য আল্লাহপাক একটি ট্রেনিং এর
ব্যবস্থা করেছেন। সেই ট্রেনিং এর নাম হলো মেরাজ।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৪ দফা মূলনীতি:
১। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করা যাবে না।
২। পিতামাতার প্রতি সদাচারন করতে হবে।
৩। আপন আত্মীয় স্বজনকে হক পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া।
৪। অপচয় করা যাবে না।
৫। কৃপণ এবং অতিমব্যয়ী হওয়া যাবে না।
৬। রিযিক বন্টনের ব্যাপারে কাউকে কিছু বেশী এবং কাউকে কিছু কম
দিয়েছেন।
৭। গরীব হয়ে যাওয়ার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদের মেরে ফেল
না।
৮। তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, নিশ্চয় তা অশালীন কাজ এবং ধ্বংসের পথ।
৯। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করো না।
১০। এতিমের মাল সম্পদ স্পর্শ করা যাবে না।
১১। ওয়াদা চুক্তি ও অঙ্গিকার পূরন করবে।
১২। যখন পাত্র দ্বারা মাপবে তখন পুরো মাপবে এবং সঠিক ও ত্রুটিহীন পাল্লায় উচিতভাবে ওজন করবে।
১৩। যে বিষয়ে তোমাদের জানা নেই সে বিষয়ে তোমরা ধারনা করে
কথা বলবেনা।
১৪। যমীনের উপর দিয়ে কখনো গর্ব করে চলাফেরা করবে না।